24 Ghonta Bangla Desk: আপনি কি এমন অবস্থায় কখনো পড়েছেন, কিছু মনে করতে চাইছেন অথচ মনে পড়ছে না। অনেকে মনে করে বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। যুক্তি দেবার ক্ষমতাও লোপ পায়। তবে আসল কথা হল মস্তিস্কের কর্ম ক্ষমতা ফিরিয়ে আনা যায় কিছু মানসিক চর্চা ও ব্যায়াম দিয়ে।
ব্যায়াম : শরীর চর্চা বা ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটে। ব্যায়ামের কারণে মস্তিষ্কের সাইনক্সিস বা যে অংশে দুটো কোষের নিউরনের মধ্যে স্নায়বিক বৈদ্যুতিক আদান-প্রদান ঘটে তা বেড়ে যায় এর ফলে মস্তিষ্কে অনেক বেশি সংযোগ স্থাপিত হয় এবং কোষ গঠনের পরিমাণ বেড়ে যায়। হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন ও গ্লুকোজ সঠিক পরিমাণে সরবরাহ হয় এবং বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়। যা ব্যায়াম এর দ্বারা সম্ভব। আর এই ব্যায়াম যদি আপনি আশেপাশে কোন খোলা জায়গায় প্রকৃতির মাঝে করতে পারেন তাহলে শরীরের পক্ষে সেটি আরো ভালো। কেননা সে ক্ষেত্রে শরীরে ভিটামিন ডি বেশি পরিমাণে শোষিত হয়।
হাঁটা চলায় মুখস্থ করা : হেঁটে হেঁটে মুখস্থ করার অভ্যাস বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত। বিভিন্ন অভিনেতা ও এ কাজ করে থাকেন। গবেষকরা মনে করেন হাঁটার সময় যদি আপনি কোন নতুন শব্দ বা নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করেন তাহলে সেটি বেশি মনে থাকে। ভবিষ্যতে যদি আপনাকে কোন প্রেসেন্টেশন বা বক্তব্য দিতে হতে পারে তাহলে সেটি আপনি হেঁটে হেঁটে মুখস্ত করতে পারেন।
পছন্দের খাবার খাওয়া : যে পরিমাণ শক্তি গ্লুকোজ আমাদের শরীরে গ্রহণ করা হয় তার 20 শতাংশ সরাসরি মস্তিষ্কে যায়। তাই মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা নির্ভর করে আমাদের শরীরের গ্লুকোজের পরিমাণের ওপর। আমাদের দেহে গ্লুকোজের পরিমাণ সঠিক না থাকলে অনেক সময় মস্তিষ্কের অবস্থা এলোমেলো থাকতে পারে। আমরা যখন পছন্দের খাবার খাই তখন সেটি আমাদের মস্তিষ্কে ডোপামেন নামে এক প্রকার রাসায়নিক পদার্থ নির্গত করে যার ফলে আমরা খাওয়ার সময় তৃপ্তি পায়। তাই শরীর ও মস্তিষ্ক ঠিক রাখার জন্য পছন্দের খাবার খুব জরুরী।
অবসর সময় : জীবনে কিছুটা চাপ থাকা জরুরী কারণ এটি আমাদের জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া করতে সাহায্য করে। এটি কোডিশল নামে আমাদের শরীরে এক ধরনের রাসায়নিক নিঃসরণ করে যা সাময়িকভাবে উজ্জীবিত করতে সাহায্য করে এবং কোন কিছুতে মনোযোগ খুব সহজেই দিতে পারি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তা আমাদের মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। এজন্যই মাঝে মাঝে অবসর সময় কাটানো জরুরি।
পড়া এবং ঘুম: আপনি যদি দিনের বেলা নতুন কিছু নিয়ে পড়াশোনা করেন তাহলে মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলির মধ্যে একপ্রকার সংযোগ স্থাপিত হয় আর আপনি যখন ঘুমিয়ে যান তখন এই সংযোগ আরও শক্তিশালী হয় এবং সেই পড়াশোনা স্মৃতিতে পরিণত হয়। তাই স্মৃতির জন্য ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।