ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায় কি ?

৪ ঘন্টা ডেক্স: আমরা সকলেই জানি ক্যান্সার হল একটি মারণ রোগ। ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করা যায় কিন্তু সাড়িয়ে তোলা সম্ভব না। ক্যান্সার যেমন বিভিন্ন কারণে হতে পারে। ঠিক তেমনি আজকে আমরা জানব কি কি ভিটামিনের অভাবে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমরা সাধারণত জানি ক্যান্সার হলো একটি জেনেটিক রোগ যা অনিয়মিত জীবন যাপনের ফলে যেমন অনিদ্রা,ধূমপান, মদ্যপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস প্রভৃতি কারণে মানব শরীরে এই মারণ রোগ বাসা বাঁধে।

ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায় কি ?

কিন্তু আমরা অনেকেই এটা জানি না যে কিছু ভিটামিনের অভাবেও আমাদের শরীরে ক্যান্সার বাসা বাঁধতে পারে মূলত তিনটি ভিটামিনের অভাবে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ক্যান্সার দেখা দেয়। তাই এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আজকে থেকেই সাবধান হয়ে যান কোন কোন ভিটামিন গুলো আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ প্রয়োজন।

আরও পড়ুন:  মুলতানি মাটি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়,দেখে নিন

ভিটামিন C তে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা নতুন কোষ সৃষ্টি করতে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াই। শুধু তাই নয় ভিটামিন সি তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে জমাট বাধা মৃত কোষ কে নির্গত করতে সাহায্য করে।মানব শরীরে কোলাজেনকে সংশ্লেষণ করতে ভিটামিন সি প্রয়োজন। বিভিন্ন রকম টক জাতীয় ফল যেমন আমলকি লেবু  (ক্যান্সার প্রতিরোধক ফল) ইত্যাদিতে ভিটামিন সি পাওয়া যায় তবে মনে রাখবেন ভিটামিন সি কে বেশি তাপ দিলে তা নষ্ট হয়ে যায়। তাই ভিটামিন সি যুক্ত খাবার কাঁচা বা কম আঁচে খেতে চেষ্টা করবেন।

আরও পড়ুন:  চর্বি কমানোর ঘরোয়া উপায়/প্রতিকার।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে যেসব খাবার:

আমরা জানি ভিটামিন A চোখের দৃষ্টি শক্তিকে ভালো রাখতে সাহায্য করে হাড়ের পুনর্গঠনে সাহায্য করে। কিন্তু শুধু তাই নয় ভিটামিন A তে যেহেতু বিটা কেরোটিন প্রচুর পরিমাণে থাকে তাই এটা কোষ পুনর্গঠনে সাহায্য করে এবং ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এই ভিটামিন এ ক্যান্সারের যে জীবাণু তাকে বেড়ে উঠতে দেয় না। ভিটামিন এ আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উচ্চমাত্রায় বাড়িয়ে তোলে।  হলুদ রঙের সব সবজিতে আমরা ভিটামিন এ প্রচুর পরিমাণে পাই যেমন-গাজর,পাকা আম,কাঁঠাল,মিষ্টি কুমড়ো (ক্যান্সার প্রতিরোধের সেরা সবজি কি)।

আরও পড়ুন:  ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করে ব্ল্যাক হেডস দূর করার উপায়।

ভিটামিন D যেমন হাড় এবং দাঁত মজবুত করে তার পাশাপাশি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বিভিন্ন রকম এলার্জি হাঁপানি এবং ফুসফুস সংক্রমিত রোগ গুলিকে ভিটামিন ডি প্রতিরোধ করে। ভিটামিন ডি পাবার সবথেকে সহজ উপায় হল সূর্যের রোদ্রু। দিনে অন্তত এক থেকে দু’ঘণ্টা সূর্যের রোদে কাটালে আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *